আবারো হাবিপ্রবির হল থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আবাসিক সব হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে হলে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে হল খুলে দেয়ার আগে গত দুই দিনে হাবিপ্রবির ৯টি আবাসিক হলের মধ্যে ৪টি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল, গাঁজা এবং মাদক সেবনের সামগ্রীও।
গতকাল বুধবার (১৪ আগষ্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ সাইফুর রহমান।
এর আগে গত ১২ আগস্ট আবাসিক সব হল খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত ১২ আগস্ট হল খুলে দেওয়া হয় নি।
এই নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ সাইফুর রহমান। সিদ্ধান্ত হয়, হলগুলোতে যাতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে অবস্থান করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিয়েই শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন আবাসিক হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তল্লাশী শুরু করে। গত বুধবার সন্ধ্যা পর্যস্ত দুই দিনের অভিযানে ৪টি হল থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে মদ, ফেন্সিডিলের বোতল ও মাদক গ্রহণের সামগ্রী।
প্রথম দিন মঙ্গলবার তাজউদ্দীন হলের মাত্র একটি ফ্লোর থেকে উদ্ধার হয় ১৪৩ বাঁশের লাঠি, ১৬ লোহার রড, ২২ লোহার পাইপ, ৬টি সামুরাই, ২টি লোহার চেইন, খালি মদের বোতল ৩টি ও মাদক সামগ্রী।
গত বুধবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল থেকে ৯টি সামুরাই, ৫০টি এসএস পাইপ, ৪০টি বাঁশের লাঠি, ৩৬টি কাঠের লাঠি, ৭২টি রড ও প্লাস্টিকের পাইপ, একটি মদের বোতল এবং গাঁজাসহ সঙ্গে মাদক গ্রহণের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯৬টি সামুরাই ও ৪টি পেট্রল বোমা। পরে এসব রুমগুলো সিলগালা করছে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, তাজউদ্দীন আহমদ হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
২য় দিনেও হাবিপ্রবির হল থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার
হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রদের মনিটরিং সেলের নেতাদের নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ভার্সিটির বাইরে বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল।
তিনি আরও জানায়, এসব অস্ত্র থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য হলগুলো নিরাপদ ছিল না। তাই দুইদিন ধরে উদ্ধার অভিযান শেষ করেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, উদ্ধার অস্ত্রগুলো থানায় জমা দেয়া হয়েছে।