October 8, 2024
গাইবান্ধার হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের দাবিতে সমাবেশ

গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত দুইজনের মৃত্যু

Read Time:4 Minute, 24 Second

গাইবান্ধা জেলার সাঘাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া দুইজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, নির্যাতনের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, গ্রেফতারের পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫) এবং একই এলাকার মালেক উদ্দিনের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৫)।

গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ইবনে মিজান।

এর আগে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সাঘাটা এলাকা থেকে ওই দুইজনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলেন- সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট (৪৫), সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীর বাঁশহাটি এলাকার সেরায়েত আলীর ছেলে মোঃ সাহাদৎ হোসেন পলাশ (৪৫) এবং উত্তর সাথালিয়া গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮)।

পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান জানায়, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এই সময় ইউপি চেয়ারম্যান সুইটসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ জনকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবং মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল ও শাহাদাৎ হোসেন পলাশকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাদের মধ্যে মোঃ শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শজিমেক হাসপাতালে এবং সোহরাব হোসেন আপেল দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

সোহরাব হোসেন আপেলের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি একটি প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরী ছিলেন। আমার স্বামীকে তারা রাতে গ্রেফতার করে খুব পিটিয়েছে। একটি পা ভেঙে দিয়েছে। দুপুরে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, আহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি তিনি। হাসপাতালের আরএমওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

এই ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোঃ আসিফুর রহমান জানায়, নিহতের পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এই আঘাতে মৃত্যু অপ্রত্যাশিত। হয়তো তার অভ্যন্তরীণ কোন প্রকার সমস্যা ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
দিনাজপুরে সাবেক এমপি শিবলী সাদিকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Previous post দিনাজপুরে সাবেক এমপি শিবলী সাদিকসহ ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দাফনের পর কবর থেকে তোলা হলো মিলনের মরদেহ Next post কবর থেকে তোলা হলো ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলামের মরদেহ