November 6, 2024
শত্রুতার জেরে পাভেলকে হত্যা, ৩ জন গ্রেফতার

শত্রুতার জেরে পাভেলকে হত্যা, ৩ জন গ্রেফতার

Read Time:3 Minute, 50 Second

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় নিখোঁজের ৩ দিন পর পরিত্যক্ত এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মোঃ শফিকুর রহমান পাভেল (৩৭) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা ব্যক্তিরা হলেন-গাইবান্ধা সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি (৪৪), মোঃ জবিউল ইসলামের ছেলে মোঃ সুজন মিয়া (৩৬) ও শাহ আলমের স্ত্রী মোছাঃ অমেলা বেগম (৪২)।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ ইবনে মিজান।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে পাভেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শরিফুল ইসলাম পাভেল বল্লমঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে পলাতক আসামি শাহিন কৌশলে মোঃ শফিকুর রহমান পাভেলকে ফোন করে গত শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে জড়িত সকল আসামিদের যোগসাজশে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা দিয়ে পাভেলের মাথায়, পায়ের উভয় পাশে এবং গোড়ালিতে কুপিয়ে হত্যা করে।

এরপর তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে একই এলাকার মোঃ সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে।

পরে মোঃ শফিকুর রহমান পাভেলের লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সেরাজুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
বাবার সঙ্গে অভিমান করে এক তরুণের আত্মহত্যা! Previous post ভূরুঙ্গামারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের আত্মহত্যা
‘টাকা না পেলে সবাইকে একে একে মেরে ফেলতে বলেছে’ Next post ‘টাকা না পেলে সবাইকে একে একে মেরে ফেলতে বলেছে’