চট্টগ্রাম: নগরীর পূর্ব নাছিরাবাদে খাদিজা বেগম জান্নাত (তার বয়স ছিল ১৯) নামে এক গৃহকর্মীকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়।
তার পর আটতলা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি এসেছে।
জান্নাত যে বাসায় কাজ করতো ওই বাসার মালিক এর ছেলে ফাওয়াদ ধর্ষণের পর প্রমাণ না রাখতে পরিকল্পিতভাবে
এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জবানবন্দিতে বলেছেন জান্নাতের সহকর্মী ও একই বাসার গৃহকর্মী লায়লা বেগম।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন লায়লা বেগম(তার বয়স ছিল ২০)।
ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর বাড়ির গৃহকর্তা পরিবারসহ পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও হাতে পাওয়া যায় নি ।
তবে জবানবন্দিতে ধর্ষণের পর হত্যার কথা এসেছে। আমরা পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি।
বাসার মালিক এর ছেলে ফাওয়াদ নগরীর ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র বলে জানান ওসি।
গত শুক্রবার পূর্ব নাছিরাবাদের মসজিদ গলির কেডিএ শায়েলা ভবনের নিচ থেকে জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় জান্নাতের বাবা মুহাম্মদ ছৈয়দ বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ভবনের মালিক মাহমুদুল্লাহ ও তার স্ত্রী শায়েলা খাতুন এবং দুই ছেলে ফারাজ ও ফাওয়াদকে আসামি করা হয়।
পুলিশ ওই বাসার আরেক গৃহকর্মী লায়লা বেগমকে রোববার জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে হাজির করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে লায়লা বেগম জানান, তিনি দুই বছর ধরে মাহমুদুল্লাহর বাসায় কাজ করছেন। জান্নাত দুই মাস আগে ওই বাসায় কাজে যোগ দেয়।
জবানবন্দিতে বলেন লায়লা গত শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আমি ড্রইংরুমে কাজ করছিলাম।
তখন জান্নাত বের হয়ে বলে শায়েলা আন্টির ছেলে ফাওয়াদ তাকে ধর্ষণ করেছে।
তখন রুম থেকে ফাওয়াদ বাহির হয়ে আসলে আমি তাকে বলি আমি আন্টিকে বলে দিব।
তখন ফাওয়াদ জান্নাতকে বারান্দায় ডেকে নিয়ে যায় এবং ধাক্কা মেরে ৮ তলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। জান্নাত চিৎকার দিলে ফাওয়াদ দৌড়ে মেরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
জবানবন্দিতে লায়লা আরও জানান, ফাওয়াদ এর আগে লায়লাকেও ধর্ষণের চেষ্টা করে কিন্ত সে ব্যর্থ হয়েছিল।তার পর থেকে শায়েলা তাকে রাতে ঘুমানোর সময় দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে বলেছিল জান্নাত ও লায়লা কে।