পেঁয়াজের দাম যদি পদত্যাগ করলেই কমে তাহলে এক সেকেন্ডের ব্যবধানে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির দীর্ঘ প্রায় দুই মাসেও কমেনি। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির পরও পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল হয় নাই । আর তা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী এবিষয়ে বলেন, ‘কেউ কেউ আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। পদত্যাগ করা এক সেকেন্ডের বিষয়, তাতে যদি পেঁয়াজের দাম কমে।’
আলোচনায় সভায় তিনি দাম বৃদ্ধির কারণও তুলে ধরেন। বাণিজ্যমন্ত্রী দাম বৃদ্ধি নিয়ে জানান , ‘‘বছরের শেষ দিকে প্রতি মাসে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আসে। ভারত বন্ধ করে দেয়ায় এসেছে ২৫ হাজার টন। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসতো। সেখানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলে সব দেশেই পেঁয়াজের দাম চড়া।’
বাণিজ্যমন্ত্রী পাশাপাশি পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল করার জন্য যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ বড় করার পর তারা উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে এস আলম গ্রুপের প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।’
কোনো মুনাফা ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি করে দেওয়ায় সিটি, মেঘনা ও এস আলম গ্রুপকে ধন্যবাদও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের পেঁয়াজের খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি সাড়ে ৪২ টাকা। এ পেঁয়াজ টিসিবিকে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে অনেকে আমদানি করছে, সেটাতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এই মুনাফালোভীদের মূল্যবোধ সংকটের সময়ও জাগ্রত হয় না।’
আগামী তিন বছরে পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার নতুন পেঁয়াজ উঠলে ভারতীয় পেঁয়াজ আমি বন্ধ করে দেব।’
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তারসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন
আরসিএন ২৪ বিডি / ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯