মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
দেশের করোনা মোকাবেলায় আপনার উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক, সুচিন্তিত এবং সাধুবাদযোগ্য।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ।
“তবে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা এই করোনা যুদ্ধের সৈনিক নয় কি ?”
যে তথ্য বাহক হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের কথা চিন্তা না করে , ঘরে থাকা সন্তানদের কথা না ভেবে করোনা সংক্রমিত হয়েছে এমন তথ্য সংগ্রহের জন্য ছুটে যায় এই তথ্য বাহক সাংবাদিক।
করোনাভাইরাসের সংকটময় সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ।
আপনি বলেছেন, ‘যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার প্রস্তুত আছে। এই মুহূর্তে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষকে এই প্রাণঘাতী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা।’
মানণীয় প্রধানমন্ত্রী এই সংকটকালীন মুহুর্তে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য বীমা ও প্রণোদনা প্রদানের কথা জানালেও ঝুঁকির মধ্যে তথ্য বাহক সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে আপনি ছাড়া কেউ নাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , দেশের তথ্য বাহক সাংবাদিক আর আপনি আমাদের পরিবারে বাহক এতটুকু চাওয়া আপনার কাছে।
দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ আপনার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ,
আপনার কাছে অনুরোধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দেশের গরীব মানুষদের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, আর আপনিও তাই করে যাচ্ছেন।
আপনি হয়তো বা জানেন না এই সাংবাদিকতা পেশায় কত মানুষ আজ অসহায়। মাসের পর মাস বেতন বকেয়া, কথায় কথায় চাকরি হারিয়ে বহু সাংবাদিক বর্তমান দিশেহারা। আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে-বাইরে আমরা আতঙ্কিত।
তাই আপনার কাছে আশা করছি আপনি আমাদের দিকে নজর দেবেন, করোনাভাইরাসের এই মাহামারিতে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াবেন। মা যেমন সন্তান বিপদে আগলে রাখে তেমনি করে। মুক্তিযুদ্ধে যেমন বহু সাংবাদিকের অবদান রয়েছে তেমনি স্বাধীনতার পরেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুখে-দুঃখে এই পেশার মানুষগুলোর অনেক অবদান রেখে চলেছে।
জি এম এম এম রহমান সৌরভ
সম্পাদক
রংপুর ক্রাইম নিউজ