ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যৌথ হামলা করে ভিপি নুরুল হক নুর কে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় ডাকসু ভবনেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
ডাকসুর ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহবায়ক নুরুলহক নুর তার ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে বলেন , “ডাকসুতে ছাত্রলীগ ও তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা, ডাকসু ভাঙচুর, আমরা অবরুদ্ধ।”
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ডাকসু ভবনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একত্রে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের দাবি, নুর এবং তার অনুসারীরা ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে উপর থেকে। এ কারণে তারাও নুরদেরকে মারধর করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এছাড়া বাহিরের থেকেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাসসহ অসবাবপত্র তছনছ হয়ে য়ায়।
জানা গেছে, হামলায় ভিপি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মু. রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। পাঁচজনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও জানা গেছে, ভিপি নুরের ওপর হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন। সবাই মিলে মারধর করে নুরুর কক্ষ থেকে পাঁচ জনকে বের করে দেন।
সনজিত ও সাদ্দাম সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে অন্য একটি গ্রুপ ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে তারা নুরসহ অন্যদেরকে মারধর শুরু করেন।
এদিকে জানা যায় , নুরসহ সবাইকে কক্ষের লাইট অফ করে দেয়, আর এরপরেই সবাইকে মারধর করা হয়। এসময় আহত হয়ে কয়েকজন সেখানেই পড়ে আছেন। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্স এবং রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা,সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
আরসিএন ২৪ বিডি /২২ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার