আরসিএন২৪বিডি ডেস্ক : টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো আজ দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শুরু হয় জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসলিমদের ঢল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকে মুসল্লিসহ গাজীপুর ও ঢাকার আশপাশের সব জেলার মুসল্লিরা শুধু এই জুমার জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য ।
জুমার নামাজে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও খালি জায়গায় অবস্থান নেয় মানুষ। এছাড়া অনেকেই বাড়ির ছাদ, নৌকা, গাড়ির ছাদে পাটি, পলিথিন, চট ও পত্রিকা বিছিয়ে নামাজে অংশ নেয়।
এর আগে বাদ ফজর আমবয়ানে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
৩ দিনব্যাপী ইজতেমার এ পর্বের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি ও যৌতুকবিহীন বিয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাদ আছর ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রাক বয়ান শুরু করেন বাংলাদেশের ফায়সাল সুরা ওয়াসিফুল ইসলাম। এরপরে বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শামীম।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নামাজের পর বয়ান করেন মদিনার মাওলানা ওসমান। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজত অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) আর এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমারও প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে এদিন দেশের বৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষ যারা প্রথম পর্বের ইজতেমায় আসতে পারেনি সেই সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকেই এই ইজতেমার ময়দানে ভিড় জমান । তবে থেমে নেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে আসার ঢল , আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আগমন ।
এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি করছে।
এ পর্বের ইজতেমা পরিচালনার ব্যাপারে বাংলাদেশের ফায়সাল সুরা ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি এ ইজতেমায় আসবেন না। তবে নিজামুদ্দিনের পক্ষ থেকে তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি ও আলেমসহ ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইজতেমায় এসেছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হবে এ পর্বের ইজতেমা।
এ ইজতেমায় শুধু দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছাড়াও দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। আর সেই দেশগুলো হলো সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে এসেছেন তারা।
জি এম এম /আরসিএন ২৪ বিডি ডট কম / আপডেট ২:০৪:৫৩, জানুয়ারি ১৭, ২০২০