বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পূর্ব অনুমতি ছাড়া মুজিববর্ষে অতিউৎসাহী হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তৈরি করা যাবে না যেখানে সেখানে এর জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা ও মহানগরের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ওখানে ম্যুরাল করা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি ছাড়া কোথাও কোনো ম্যুরাল স্থাপন করা যাবে না। আমাদের প্রচারনায়ও একটা শৃঙ্খলা রাখতে হবে।’
মুজিববর্ষ উদযাপনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কর্মসূচি পালনের নামে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন নেত্রী। মুজিববর্ষে অতি উৎসাহী, কিছু মানুষ অতি উৎসাহী কিছু কর্মকাণ্ডে যাতে লিপ্ত না হয় সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এসময় মুজিববর্ষের ব্যানারে নেতাকর্মীদের নিজেদের ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন ক্ষমতাসীনদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা। এর ব্যত্বয় হলে কঠোর সাংগঠনিক শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
মুজিববর্ষের আয়োজনে কেউ যেন ক্ষমতার বাড়াবাড়ি না করে, দাপট না দেখায়; সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
মুজিববর্ষে দলের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়ে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল, ছোট-খাটো সমস্যা থাকবে। মুজিববর্ষে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। কোনো অবস্থায় দলের মধ্যে কোনো কলহ-কোন্দল, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। মনে রাখবেন নিজেরা যদি নিজেদের শত্রু হন, তাহলে আপনাদের ক্ষতি করার জন্য বাইরের শক্তি প্রয়োজন হবে না।’
উপস্থিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘দেশে একটা মহল আছে, যে মহলটি বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারে না। এই মহলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃতকারী সেই শক্তি। যে শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো, পুনর্বাসন করেছিলো। এরা বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিলো। স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতাকে নিষিদ্ধ করেছিলো। বিশ্ব স্বীকৃত ৭ই মার্চের সেই ভাষণকে তারা নিষিদ্ধ করেছিলো। এরা ১৫ আগস্টের সেই ষড়যন্ত্রই নয়, ইতিহাসের অনেক কলঙ্কিত অধ্যায়ের নায়ক। এদের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।