সাত বছরেও মিললো না রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ এর নতুন কমিটি !
২০১৫ সালে এক বছরের জন্য গঠন করা হয়েছিল কমিটি। এরপর ৭বছর পার হলেও হয়নি রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ এর নতুন কমিটি।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বেশিরভাগ নেতার ছাত্রত্ব নেই, আবার অনেকেই আছেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাদকের সাথে জড়িত। অনেকেই আবার বিয়ে করে অনেকে ব্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। নেতৃত্ব নিয়ে অচলাবস্থায় নতুন ছাত্রদেরও আগ্রহ নেই রাজনীতিতে।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, মহানগরের নেতারা প্রায় ৭বছর পার করলেও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ও কলেজে কমিটি দিতে পারেননি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন অনেকে।
এছাড়াও জমি দখল, মারপিটসহ নিজ দলের নেতাদেরই ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন এর বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম এক বছরের জন্য মহানগর শাখার কমিটি গঠন করেন।
এ কমিটিতে শফিউর রহমান স্বাধীনকে সভাপতি ও শেখ আসিফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২০১৬ সালের ৩০ মে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
এরপর অনেক নেতা মামলার আসামি হয়েছেন। চাকরিতে যোগদান, অন্য সংগঠন বা অন্য জায়গায় চলে গেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কমিটিতে রয়েছেন ৩৯ জন। এর মধ্যে অন্তত ২৫ জন বিবাহিত।
এ ছাড়াও ৬৫ নেতাকর্মী নিষ্ফ্ক্রিয় রয়েছেন। ব্যবসা কিংবা চাকরির সুবাদে অন্য জেলায় রয়েছেন অন্তত ১০ জন। মহানগরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কমিটি গঠন করা হয় ২০১৭ সালে, চলতি বছর সেটিও এখন বিলুপ্ত হয়েছে।
৬ মাস আগে বিলুপ্ত করা হয়েছে কারমাইকেল কলেজের কমিটি। রংপুর সরকারি কলেজে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে ৩ বছর আগে। এ ছাড়াও নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ, এটিআইসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কমিটি।
এদিকে রংপুর নগরীর ২০, ২৩, ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডেও কমিটি হয়নি। বাকি ওয়ার্ডগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি আলমনগর কিষান হিমাগারের পাশে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টা ও নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফের বিরুদ্ধে।
২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর টাউন হলে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলাসহ হাতাহাতি হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ওই ঘটনার জন্য মহানগর ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়।
এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ, সহসভাপতি নয়ন মাহমুদ বিপ্লব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। আসিফের ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতনের শিকার একাধিক নেতাকর্মী গত ২৯ এপ্রিল দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সহ-সম্পাদক আল মাহদী হৃদয়সহ অন্য নেতারা এদিন দাবি করেন, কমিটি নিয়ে কথা বলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আইএসটির সাধারণ সম্পাদক সজীব, রংপুর মেডিকেল কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিস ও পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কথন।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ বলেন, ‘আমার কোনো টর্চার সেল নেই, কোনো নেতাকে মারধরও করিনি। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করতে নতুন কমিটি করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাফিউর রহমান স্বাধীন বলেন, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ছাত্রলীগের কার্যক্রম বেগবান করতে নতুন কমিটি প্রয়োজন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কমিটির।
এই সংবাদটি অন্য পত্রিকায় পড়ুন : হযবরল রংপুর ছাত্রলীগ
আরসিএন ২৪ বিডি / ২০ জুন ২০২২
- ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
- লালমনিরহাটে নর্দমায় পড়ে এক শিশুর মৃত্যু
- মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
- অপহরণ নয়, প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে ঘর ছাড়ি: কিশোরীর জবানবন্দি
- কুড়িগ্রামে গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার
Average Rating