September 20, 2024
দিনাজপুরের জমিলার মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার

দিনাজপুরের জমিলার মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার

Read Time:3 Minute, 52 Second

বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে পুরুষের সাথে সমান তালে লড়াই করে চলা সফল নারী ব্যবসায়ী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি হাটের জমিলা বেগম ওরফে জমিলা কসাই (৪৯)।

নিজেকে তিনি কসাই হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জমিলাকে সমাজের নানা বাধা পেরুতে হয়েছে।

অজোপাড়া গায়ে তার জীবনযুদ্ধটা ছিল বেশ কঠিন। মানুষের কটু কথা ও সব বাধাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেকে সফল নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।

জমিলা বেগমের মাংস বিক্রির দোকানটির নাম রাখা হয়েছে মায়ের দোয়া মাংস ভান্ডার। এ মাংসের দোকানে মিলবে শতভাগ হালাল মাংস। দোকানটির বিশেষ গুণ হলো এখানে ক্রেতার পছন্দ মতো মাংস দেওয়া হয়। সঠিক পরিমাপে হাড়-চর্বি বাদে মাংস বিক্রি করা হয়।

বিয়ে বাড়ি, খৎনাসহ আশপাশের গ্রাম-শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জমিলার দোকানের মাংস বেশ জনপ্রিয়। দুই দশকের টানা অভিজ্ঞতায় তিনি ক্রেতাদের কাছে হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত। এলাকায় এখন ‘জমিলা কসাই’ নামেই পরিচিত তিনি।

প্রতি সপ্তাহের সোমবার বাদে ছয়দিনই মাংস বিক্রি করেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার মাংস বিক্রি বেশি হয়। অন্যান্য দিনে মাংস বিক্রি ৭ থেকে ১০ মণ হলেও এই দিনে বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ মণ মাংস। গড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন তিনি। শুধু নিজ এলাকার নয়, ক্রেতারা আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। বিশেষ করে বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ, গড়েয়া হাট, কাহারোল, বসুনিয়া, লাহিড়ী, কালমেঘ, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, খানসামা উপজেলা এমনকি ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী শহর থেকেও ক্রেতা আসেন জমিলার দোকানে মাংস কিনতে।

এ বিষয়ে জমিলা বেগম বলেন, আমার বাবা জাকির হোসেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়ী হাটে এসে পানের ব্যবসা শুরু করেন। আমরা চার ভাইবোনের মধ্যে আমি তৃতীয়। স্কুলে যাওয়া হয়নি আমার। ১৪ কিংবা ১৫ বছর বয়সে বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার রফিকুল ইসলাম ভান্ডারীর সঙ্গে বিয়ে হয়। আমার স্বামী পেশায় একজন কসাই ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করেন। আমার প্রথম সন্তান জহুরুলের জন্মের কিছুদিন পর আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে ব্যবসা নষ্ট করে ফেলেন। ২০০০ সালের দিকে আমার স্বামী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে বগুড়া থেকে বাবার বাসায় এসে ঝাড়বাড়ী হাটে একটি মাংসের দোকান শুরু করি। সে সময় দোকানে স্বামীকে সময় দিতাম।ধীরে ধীরে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।

আরসিএন ২৪ বিডি / ২৯ জুন ২০২২

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি Previous post পুলিশের ১৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
দুই বউয়ের যন্ত্রণায় মোটরসাইকেল পোড়াল স্বামী Next post দুই বউয়ের যন্ত্রণায় মোটরসাইকেল পোড়াল স্বামী