নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ করার সময় আটক পুলিশ সদস্য
Read Time:3 Minute, 25 Second
গাইবান্ধায় বাথরুমের ওপর দিয়ে নারীর গোসলের দৃশ্য গোপনে মোবাইলে ধারণ করার সময় এক পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে শহরের দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। আটক পুলিশ সদস্যের নাম মোঃ শাহ আলম। তাঁর পুলিশ আইডি (বিপি ৮৩০২০৮২৫৭১)। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট জেলার বানভাসা গ্রামে। বর্তমানে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে কর্মরত বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাইবান্ধা পৌর শহরের দক্ষিণ ধানগড়া এলাকায় বাড়ির বাথরুমে গোসল করছিলেন ওই বাড়ির এক নারী। এই সময় বাথরুমের ওপর দিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ওই নারীর গোসলের দৃশ্য ধারণ করছিল মোঃ শাহ আলম। নারীর গোসলের ভিডিও করার সময় স্থানীয়রা বুঝতে পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাহ আলমকে আটক করেন। পরে গাইবান্ধা সদর থানা-পুলিশ খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি ঘটনাস্থানের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। একজন অপরিচিত লোক ওই বাড়ির ছাদ ছাড়া বাথরুমের ওপর দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করছিল। আমি চিৎকার দিলে শাহ আলম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে।
ওই নারীর স্বামী জানান, ‘আমি বাইরে কাজে গিয়েছিলাম। এসে দেখি লোকজন দিয়ে বাড়ি ভর্তি। বিস্তারিত এই ঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। একজন রক্ষক এভাবে ভক্ষক হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের লোককে নিয়ে গেল।’
এভাবে হাতেনাতে ধরার পরও অভিযোগ দেওয়া ছাড়া পুলিশ ব্যবস্থা নিবে না, বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে।
আটক পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করতে আসা গাইবান্ধা সদর থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আটককৃতকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর থানায় নিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত করে দেখব, ওনি আসলেই পুলিশ কিনা? ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহ আলম পুলিশ সদস্য কি না নিশ্চিত হতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসির সরকারি মোবাইলে ফোন দিলে পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সেরাজুল ইসলাম ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘ওসি সাহেব ছুটিতে আছে।’ শাহ আলম পুলিশ সদস্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।’
জানতে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে ফোন দিলে রিসিভ করেন নি।
Happy
0 %
Sad
0 %
Excited
0 %
Sleepy
0 %
Angry
0 %
Surprise
0 %
0
0
