September 20, 2024
নীলফামারীতে ১২ দিনেও সরানো হয়নি ঝড়ে পড়া গাছ

নীলফামারীতে ১২ দিনেও সরানো হয়নি ঝড়ে পড়া গাছ

Read Time:3 Minute, 45 Second

নীলফামারীতে ১২ দিনেও গাছ না সরানোয় মানবেতর জীবন-যাপন করছে পরিবারটি।

কালবৈশাখী ঝড়ে নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ কিষামত গোড়গ্রাম গ্রামে রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ পড়ে রাজমিস্ত্রি নজরুল ইসলামের রান্নাঘরসহ থাকার দুটি ঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে গাছটি সরানোর জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
ফলে বৃষ্টির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ঘরেই মানবেতর জীবন-যাপন করছে ওই পরিবারের চার সদস্য।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৮ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে রাজমিস্ত্রি নজরুল ইসলামের তিনটি ঘরের ওপর একটি আমগাছ উপড়ে পড়ে।

সরকারি গাছ হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার গাছটি সরাতে পারছেন না। ফলে ঝড়ে চাপা পড়া ঘরেই ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে পরিবারটি।

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌখিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়।

এতে কোনো কাজ না হওয়ায় গত ২২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপরও গাছটি সরানো হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামত করতে না পারায় ঝড়-বৃষ্টিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এরপরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউ। এখন আমরা কোথায় যাব, কী করব? খুব কষ্টে আছি।

নজরুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলাম বলেন, আমি ভ্যান চালাইয়া খাই। আমার বাপে রাজমিস্ত্রির কাজ করে।

আমার বাপে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতাছে। কেউ গাছ সরানোর বিষয়ে আশ্বাস দিচ্ছে না। আমাদের থাকার খুব কষ্ট হচ্ছে। গাছটা সরাইলে আমরা নতুন করে ঘর দেব, সেই সার্মথ্যও নাই।

নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ তাসলিমা বেগম বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে আমাদের ঘর ভেঙে গেছে। আমরা অনেক কষ্টে ঘর থেকে বের হয়েছি। আমার শ্বশুর মাথায় আঘাত পেয়েছে। তারপর থেকে ঘরটা ওভাবে পড়ে আছে। চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোকশাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান প্রধান বলেন, ‘গাছটি অপসারণ করা জরুরি।
আমরা গাছটি কাটার ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়েছি। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। টেন্ডার হলে গাছ সরানো হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, গাছ অপসারণের প্রক্রিয়া চলমান। কবে নাগাদ অপসারণ হবে তা বলতে পারছি না। তবে দুই এক দিনের মধ্যে হতে পারে।

আরসিএন ২৪ বিডি / ২৮ মে ২০২২

এই সংবাদটি অন্য পত্রিকায় পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তাঁত বস্ত্র মেলায় চলছে লটারির নামে জুয়া Previous post তাঁত বস্ত্র মেলায় চলছে লটারির নামে জুয়া
ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত Next post ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত