সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম হবে ‘শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর’
১২ দফা দাবিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াকে স্মারকলিপি দিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর’ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (১১ আগস্ট) এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি বেবিচক চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।
১২ দফা দাবিগুলো হলঃ
★ রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক “স্যার” বা “ম্যাডাম” বলে সম্বোধন করে এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করতে হবে।
★ বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ও সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার নিমিত্ত বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
★ বিগত ১৬ বছরে বেবিচকের যে সকল চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারী জোটবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষের স্বাভাবিক কাজে বাধা দানের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে পত্র প্রেরণ ও তদবির-সহ কর্তৃপক্ষের কাজে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে সার্বিক ভাবে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
★ যাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি বঞ্চিত হবে এবং যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করতে হবে। করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদের পদোন্নতি প্রদান করতে হবে এবং যোগ্য কর্মকর্তা কর্মচারিদের গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন করতে হবে।
★ বর্তমানে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের পূর্বেই বিগত ৫ বছরে যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শুধুমাত্র গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে চাকরি পায়নি সে সকল হতভাগাদের তালিকা করে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
★ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নাম পূর্বে যা ছিল তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
★ সৈয়দপুর বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে “শহীদ আবু সাঈদ বিমানবন্দর” রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
★ বেবিচকের যোগ্য কর্মকর্তাদের কর্তৃপক্ষের ‘সদস্য’ পদে নিয়োগের বিধান চালু করতে হবে।
★ বিদেশ ভ্রমণের সরকারী আদেশ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে অত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারির নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।
★ নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সিভিল এভিয়েশনের সকল পদে কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
★ সিভিল এভিয়েশনের সকল কার্যক্রম যাতে অত্র কর্তৃপক্ষের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
★ কর্তৃপক্ষের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, আবাসন, আর্থিক এবং জনবল কাঠামো সংক্রান্ত বিদ্যমান অসঙ্গতি দূরীকরনে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।