রংপুরের কাউনিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার: স্বামী গ্রেফতার
রংপুরের কাউনিয়ায় পাষন্ড স্বামী ও ননদের প্ররোচনায় সুমাইয়া আক্তার (২৪) নামে গৃহবধূ আত্মহত্যা করার অভিযোগে স্বামী আসাদুল ইসলামকে প্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (৮ মে) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পুর্বচানঘাট গ্রামে স্বামীর বাড়ী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পুর্বচানঘাট গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী ও একই উপজলার শহীদবাগ ইউনিয়নের ভুতছাড়া মাঝাপাড়া গ্রামের পান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে নিহতের বড় ভাই নুরন্নবী বাদী হয়ে আসাদুল সহ তার ২ বোনের নাম উল্লেখ্য করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
আসাদুল ইসলামকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার বিকেলে রংপুর আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার আসাদুল ইসলাম উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পুর্বচানঘাট গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের বড় ভাই নুরন্নবী জানায়, প্রায ৭ বছর পুর্বে পারিবারিরভাবে তার বোন সুমাইয়া আক্তারের সাথে আসাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন তার বোন সুমাইয়া আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বোনের স্বামী ও তার দুই ননদ এবং পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আসাদুল বাড়ীর পাশে মুদি দোকান করে। রোজিনা নামে তার একবোনের স্বামী বিদেশে থাকে। সে স্বামীর বাড়ীতে না থেকে পিতার বাড়ীতে বসবাস করছে। আরেক বোন রুমি সেও প্রায় পিতার বাড়ীতে আসতো। বিভিন্ন সময় ভাবী ও দুই ননদদের মধ্যে ঝগড়া শুনা যেত।দুই ননদ প্রায় নাকি সুমাইয়া আক্তারকে নির্যাতন করতো।পাশাপশি আসাদুলও তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। সুমাইয়া আক্তার স্বামীকে না জানিয়ে প্রতিবেশী একজনকে টাকা ধার দেয়। এনিয়ে শনিবার স্বামী ও ননদরা সুমাইয়াকে বকাবকি করে।
এদিকে এ বিষয়ে নিহত সুমাইয়া আক্তারের মা নুর বানু জানায়, তার মেয়েকে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন প্রায় তাকে নির্যাতন করতো। কোন কিছুর কারণে একটু ঝগড়া হলে মেয়েটাকে ঠিক ভাবে খাবার দিতো না। মেয়েটাকে শনিবার বিনা কারণে পাষন্ড জামাই ও তার দুই বোন মানষিক ও শারীরিক করেছে। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়েটা মারা গেছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুমর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই গৃহবধূর মুত্য নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় স্বামীর বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় জিজ্ঞাবাদের জন্য ওই গৃহবঁধুর স্বামী আসাদুলকে থানা নিয়ে আসা হয়।
আরসিএন২৪বিডি.কম /০৮০৫২০২২
জি এম এম / রাং
Average Rating