রংপুরে সরকারি কলেজের শিক্ষক আ.লীগ নেতা
রংপুরে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে গংগাচড়া সরকারি কলেজের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের পদপদবির জন্য লড়ছেন।
দল বদল করে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এই শিক্ষক এখন নগরীর হাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান। এ কারণে আসন্ন ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ঘিরে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি মনোনয়নও জমা দিয়েছেন।
বর্তমানে শহিদুল ইসলাম রংপুর নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) রাজনীতি করতেন। ২০১৪ সালে দল বদল করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পরের বছরই ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে গংগাচড়া সরকারি কলেজের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার হাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অথচ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ অংশে বলা আছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।’ এ বিধিমালা অমান্য করে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম রাজনীতিতে জড়িয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে গংগাচড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহেন্দ্র নাথ বলেন, গত বছর কলেজটি জাতীয়করণ হয়েছে। শহিদুল ইসলাম জাতীয়করণের আগ থেকেই ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে সেখানে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি রাজনীতিও করেন। তাকে নিয়ে কেউ আমাকে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে সরকারি কর্মচারী হয়ে রাজনীতি করার সুয়োগ রয়েছে বলে বিধিমালায় উল্লেখ নেই।
এ প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজ যখন বেসরকারি ছিল তখন থেকেই সেখানে চাকরি করে আসছি। সম্প্রতি আমাদের কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে। এখনো কোনো বিল হয়নি। যদি সরকারিভাবে কাগজপত্রে আপত্তি থাকে, তাহলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব।
সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পাশাপাশি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নিয়ে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবী উল্লা-পান্না বলেন, সরকারি চাকরিরত অবস্থায় আমাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তার দল করার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিজীবী কেউ ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাইলে এটা তার নিজস্ব ব্যাপার।
আরসিএন২৪বিডি.কম /০৮০৫২০২২
জি এম এম / রাং
I couldn’t stop scrolling and reading, your content is truly one-of-a-kind. Thank you for all the time and effort you put into creating such amazing content.