
রংপুরে প্রশ্নপত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সমালোচনার ঝড়
রংপুর ক্যান্টনমেন্টপাবলিক স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক পরিক্ষার ২০২২ এর ইসলাম ওনৈতিক শিক্ষা প্রশ্ন একজন মেমের চরিত্র নিয়ে তৈরি করা হয়।
সেই প্রশ্নে বলা হয় বিত্তশালী বাবার এক মাত্র মেয়ে সেজুতি এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে প্যান্ট শাট পড়ে আধুনিক ভাবে ঘুরে বেড়ায়।
পাড়ার বখাটে যুবকরা প্রায় তাকে অশালীন কথাবার্তা বল উত্যক্ত করে এব্যাপারে সেজুতির বাবার নিকট অভিযোগ করলে বাবা বলল তুমি শালীনভাবে চলাফেরা করো কেউ তোমাকে কিছু বলার সাহস পাবে না। এই ধরনে প্রশ্ন করা কে নিয়ে রংপুরে সচেতন সমাজে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কয়েক জনের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন কিছু না বলে চলে যান। এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের বাহিরে অপেক্ষায় থাকা ছাত্র-ছত্রীদের দুইজন অবিভাবক নাম প্রকাশ করা শর্তে বলেন, ভাই এ বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নাই। আমরা কিছু বলতে পারবো। এটা তাদের প্রতিষ্টানের বিষয়।
এবিষয়ে জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ধমীয় শিক্ষার সাথে এটা কোন ভাবে মানায় না। যে শিক্ষক এই প্রশ্নটি করেছে সেই শিক্ষকের নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি আছে বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, এই প্রশ্নে বোঝা যায় তিনি যৌন হয়রানী বিষয়ে আরো উৎসাহীত করেছেন।
এবিষয় রংপুরের জনপ্রিয় প্রকাশক ও কবি লেখক সাকিল মাসুদ বলেন, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক স্কুলের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এধরণের প্রশ্ন ঐ শিক্ষকের ভেতর লুকিয়ে রাখা কুরুচির বহিঃপ্রকাশ।
যেখানে শিক্ষকের কাজ জাতিকে বিভ্রান্ত থেকে মুক্তি দিয়ে প্রজন্মকে প্রগতিশীল করা। সেখানে এসব শিক্ষক প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। এখনই যদি এসব শিক্ষককে সঠিক আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা না হয় তবে সামনে আরও ভয়াবহ অন্ধকার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
বিষয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডিন কলা অনুষদ ড.তুহিন ওয়াদুদ বলেন,বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত একটা উন্নত স্থরে পৌছাতে পারে নাই। সেই চেষ্টা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়ার কথা কিন্তু প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে কোথাও এটা হইনি।
তো সেই জায়গায় ভালো কিছু না করে আমরা আরো উল্টো দিকে হাটছি। মানুষের সাংস্কৃতিক বিকাশ, মনোনশীল চিন্তাধারার বিকাশ, এগুলোর সবকিছুর পথে এ সমস্ত প্রশ্ন বাধা হয়ে থাকবে।
আমরা মনে করি স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের একটা সুস্থা চিন্তা চেতনার বিকাশ হওয়া খুবই জরুরী। এজন্য রাষ্ট্রের একটা দায়িত্ব গ্রহন করা উচিত বলে আমি মনে করি। যেই পোশাককে আশালীন বলেছে সে পোশাককে অশালীন বলা একটা শ্রেণীকে হেয়প্রতিন্ন করা এটাও অনুচিত।
এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ এর মুটো ফোনে দুপুর ১২.১১ মিনিটে ফোন দিলে তিনি ফোর রিসিভ করেন নাই।
আরসিএন ২৪ বিডি / ২৩ জুন ২০২২
Average Rating