শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সিটি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা
রংপুর নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ।
রংপুর মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে রুমে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর হারাধন রায় হারার বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই কাউন্সিলরসহ অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশসহ অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কাউন্সিলর হারাকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, নগরীর কুকরুলের বাসিন্দা রংপুর মেডিকেল কলেজের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র চন্দন কুমার বর্মন তার বোনকে নিয়ে সোমবার দুপুরে ভোটার নিবন্ধন করতে সিটি কর্পোরেশন অফিসে যান।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে কাউন্সিলর হারাধন রায়ের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র চান তারা। এ সময় কাউন্সিলর হারা রমেক ছাত্র চন্দন ও তার বোনকে রোহিঙ্গা ও অন্য জেলায় অপরাধ করে রংপুর নগরীর বাসিন্দা হওয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে তাচ্ছিল্য করেছেন।
একই সঙ্গে প্রত্যয়নপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতিবাদ জানালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাউন্সিলরের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর চন্দন ও তার বোন সিটি করপোরেশন থেকে বেরিয়ে আসার সময় কাউন্সিলর হারা ও তার লোকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।
এ সময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে বোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টাসহ চন্দনকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি করেপোরেশন অফিসে গিয়ে চন্দন ও তার বোনকে উদ্ধার করে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা মেডিকেল মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ মহাসড়ক অবরোধ করে কাউন্সিলরের শাস্তি দাবি করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
পরে শিক্ষার্থীরা রংপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায় বরাবর স্মারকলিপি দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চন্দন রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানায় কাউন্সিলর হারাধন হারাসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চন্দন রায় বলেন, ‘আমার বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থান পরিবর্তনের জন্য আমি কাউন্সিলর হারাধন রায়ের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউন্সিলর সহযোগিতার পরিবর্তে আমাকে ও আমার বোনকে কটুকথা শুনিয়ে তাচ্ছিল্য করেন ও মারধর করেন।
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নাগরিকত্বের সনদে স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন তারা।
আমি বলেছি, অনেক রোহিঙ্গারা এভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছে। আমি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়া ওই সনদে স্বাক্ষর করতে পারবো না। এরপর তারা আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায় বলেন, চন্দনকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায় মারধর করেছেন মর্মে স্বারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিটি করপোরেশন মেয়রকে জানিয়েছি।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, কাউন্সিলেরের বিরুদ্ধে রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র চন্দন রায় থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরসিএন ২৪ বিডি / ৬ জুন ২০২২
- নীলফামারীতে গাঁজাসহ দুইজন গ্রেপ্তার
- নীলফামারীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু
- রংপুরে প্রতারক চক্রের দুইজন সদস্য আটক
- সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরসহ ২৫ জনের নামে চাঁদাবাজির মামলায় দুইজন গ্রেপ্তার
- পলাশবাড়িতে চালককে হত্যা করে অটোভ্যান ছিনতাই
Average Rating