নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় চারজন নিহত

Read Time:2 Minute, 56 Second

আজ শুক্রবার(২ আগষ্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলার নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ওয়াপদা মোড়ের নয়া বাজার ও সকাল ১১টার দিকে জলঢাকা-রংপুর সড়কের কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডী ইউনিয়নের ধোরেয়ার বাজার নামক স্থানে এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাছারি বাজার শাহপাড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক মোঃ সুমন ইসলাম (২৭) ও তার ছোট ভাই সিয়াম হোসেন (২২) মোটরসাইকেল যোগে সৈয়দপুর শহরে সুমনের শ্বশুরবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তারা নয়া বাজার নামক স্থান অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা তেলবাহী লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
অপর দিকে শুক্রবার দিন সকাল ১১টার দিকে জেলার জলঢাকা থেকে খুচরা যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস রংপুর যাচ্ছিল। পথে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের ধোরেয়ার বাজার নামকস্থানে বিপরিত দিক দিয়ে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে মাইক্রেবাসের দুই যাত্রী নিহত ও ৪ জন আহত হয়। নিহত দুইজন হলো: নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার দক্ষিন গোয়াবাড়ির মাঝাপাড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম(৩০) ও জলঢাকা উপজেলার উত্তর চেরেঙ্গা হাজীপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ মাজেদুল ইসলাম মতিন (৪০)। আহত ৪ জনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সৈয়দপুর থানার ওসি শাহা আলম জানান, ঘাতক তেলবাহী লরিটি পালিয়ে গেছে। নিহতদের স্বজনরা মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানায়, এই ঘটনায় ট্রাক আটক হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। দুইজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।