ম্যানসিটিকে গুনতে হবে জরিমানা
এমন উত্তাপ ছড়ানো গোলশূন্য ড্র ম্যাচ হয়ত ফুটবল ইতিহাসেই খুব বেশি দেখা যায়নি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের শেষ দিকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে দলটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে সফরকারী ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের বাকবিতণ্ডার কথা অনেকদিন মনে থাকবে ফুটবল প্রেমীদের। সেই ম্যাচে ‘অনুচিত আচরণে’র জন্য ম্যান সিটিকে জরিমানা করেছে উয়েফা। তবে স্বাগতিক অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক পদেক্ষপ নেওয়া হয়নি।
নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে অ্যাটলেটিকোর ওয়ান্ডা মেট্রোপলিতানোতে মাঠে নামে ম্যান সিটি। প্রথমার্ধে দুই দলের নির্বিষ খেলার পর দ্বিতীয়ার্ধে উত্তাপ ছড়ায় ম্যাচ। অনেক চেষ্টা করেও সিটির গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারছিল না অ্যাটলেটিকো। তার ওপর ম্যান সিটি খেলোয়াড়দের ‘সময় নষ্টে’র ট্যাকটিকে আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ডিয়েগো সিমিওনের দল।
নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষের দিকে সিটির ফিল ফোডেনকে নিজেদের অর্ধে পার্শ্বরেখা ঘেঁসে ফাউল করেন অ্যাটলেটিকোর ফেলিপে। ফাউলের পর মাটিতে পড়ে থাকা ফোডেনকে টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার স্টেফান সাভিচ। সেখান থেকে বাকবিতণ্ডা শুরু। এরপর মাঠ রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ম্যাচের পর টানেলেও চলতে থাকে দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি, শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে শান্ত হয় তারা।
এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য উয়েফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি ম্যান সিটিকে দায়ী করেছে। দলটিকে বাংলাদেশী টাকায় ১২ লাখ টাকারও কিছু বেশি পরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে। তবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও দলটির খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কোন পদেক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরসিএন ২৪ বিডি / ১৪ মে ২০২২
- ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘন্টায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত দুইজনের মধ্যে একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার বাসিন্দা। আর নিহত আরেকজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে এই সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৯৯ জনের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকার ৯৬ জন ও ডিএসসিসি এলাকার ৭৩ জন রয়েছে।
এছাড়াও গত একদিনে ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন ও রংপুর বিভাগে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বরল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে ডেন্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২,২৬৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায়। ডিএসসিসিতে মশাবাহিত রোগটিতে চলতি বছর মোট ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৩ জন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
- লালমনিরহাটে নর্দমায় পড়ে এক শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় নর্দমার পানিতে ডুবে এক শিশুর (২) মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নর সুদ্রাহবি এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ওই শিশুর নাম মোঃ তাউজ মিয়া (২)। পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা গ্রামের মোঃ খাদিমুল মিয়ার ছেলে।
তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদর (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ নুর ইসলাম জানান, প্রায় ৭ দিন আগে মোঃ তাউজ মিয়া তার মায়ের সাথে সুদ্রাহবি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) তার মা নামাজে বসলে মোঃ তাউজ মিয়া বাইরে চলে যায়।
এই সময় খেলতে খেলতে পাশের নর্দমায় পড়ে ডুবে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই নর্দমা থেকে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
- মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে ভুমিকা রানী রায় নামে এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে দৌলতপুর ইউনিয়নের কেউটগাঁও গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভুমিকা রানী পিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।
দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় জানায়, কেউটগাঁও গ্রামের জগদীস চন্দ্র রায়ের মেয়ে ভুমিকা রানী বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। ভুমিকা কয়েক দিন ধরে তার পিতা-মাতার কাছে একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন সেট চায়। তার পিতা-মাতা কিছুদিন পর ফোন কিনে দিতে চায়। এতে অভিমান করে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। সন্ধায় থানা পুলিশ ঐ শিক্ষার্থীর মরদের উদ্ধার করে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আনাম জানায়, এই ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
- অপহরণ নয়, প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে ঘর ছাড়ি: কিশোরীর জবানবন্দি
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অনন্তপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর প্রেমিকসহ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী ও তার প্রেমিককে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। জবানবন্দিতে সে অপহরণের শিকার হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে বলেছে, ৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে। পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে (১৭) ‘ঘোষণা দিয়ে অপহরণের’ অভিযোগ ওঠে একই গ্রামের বাসিন্দা আলিনুরের (২৬) বিরুদ্ধে। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে কিশোরীর বাবা। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরীকে উদ্ধার ও আলিনুরকে আটক করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কিশোরী দাবি করেছে, ৪ বছর ধরে আলিনুরের সঙ্গে তার প্রেম। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে আলিনুরকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ৫,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। প্রেমিককে নির্যাতনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ওই কিশোরী। এরপর পারিবারিকভাবে ওই যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার কথাতেই আলিনুর স্ত্রীকে তালাক দেয় বলেও জবানবন্দিতে জানায় কিশোরী।
তার সঙ্গে প্রেমের ‘অপরাধে’ আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল দাবি করে ওই কিশোরী জবানবন্দিতে বলে, তার চাচা (বাবার মামাতো ভাই) সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে আলিনুরকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছে। মুকুলসহ অনেকে বলেছে, এই অভিযোগ তুলে তারা আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করবে। বিষয়টি জানতে পেরে সে আলিনুরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
কিশোরীর বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় আলিনুর তাকে নিয়ে চলে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিল বলে জবানবন্দিতে ওই কিশোরী উল্লেখ করেছে। ‘না হলে তোমাকে মারবে, চলো পালিয়ে যাই’, এই বলে সে আলিনুরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। এরপর আলিনুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে অ্যাফিডেভিট করে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়। এরপর মুন্সির (ইমাম) কাছে গিয়ে বিয়ে করেন।
বাবা মায়ের কাছে যেতে অসম্মতি, কিশোরী সেফ হোমে
আদালত সূত্র জানা যায়, বাবা–মায়ের হেফাজতে যেতে অসম্মতি জানালে আদালত কিশোরীকে রাজশাহীর মহিলা ও শিশু কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফ হোম) পাঠানোর আদেশ দেয়। আদালত কিশোরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আলিনুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।ওসি নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। কিশোরীর বাবার করা মামলার পর কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এই ব্যাপারে পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আসলে দীর্ঘদিনের প্রেমঘটিত, কোন সাম্প্রদায়িক ইস্যু নয়।’ ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, প্রেম–পরিণয় কিংবা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু না বানানোর অনুরোধ জানায় এসপি।
- কুড়িগ্রামে গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র একটি চৌকস টিম গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করে নাগেশ্বরী ১নং নেওয়াসি ইউনিয়নের গাগলা বলদীটারী (মাস্টারপাড়া) গ্রামস্থ মাদক কারবারি মোঃ মফিজুল ইসলাম (৪০) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষন, সম্মানিত নাগরিকদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের এই টিম এই মাদক কারবারিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে, আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
Average Rating