নীলফামারীতে যুবদলের সংবাদ সম্মেলন
নীলফামারী জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত উত্তরা বীজ হিমাগারে রক্ষিত কৃষকদের আলু রক্ষা করতে গিয়ে জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দের নামেমিথ্যে চাঁদাদাবীর অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার (১২ আগষ্ট) বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহরের ডাকবাংলো সড়কের নিজস্ব অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (নান্টু)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী-লীগ সরকার পদত্যাগের পর বিকালে মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন (মিলন) নামে এক ব্যক্তি বিএনপির নাম ব্যবহার করে উত্তরা বীজ হিমাগার লিঃ নিজেই দখল করে তালা দিয়ে রাতের আধারে আলু বের করে বিক্রি করে দেয়ার পায়তারা করেছিলো। এমন কি দখলকারী নিজেকে উক্ত হিমাগারের মালিক হিসেবে ঘোষণা দেয়। কিন্তু হিমাগারের মালিক বা এর এমডি শহরের শিল্পপতি সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এই ঘটনা জানার পর গত ৬ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১ টায় যুবদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থানে গিয়ে হিমাগার দখল ও হিমাগারে রাখা কৃষকদের আলু যেনো অবৈধভাবে বিক্রি করা না হয় সেজন্য প্রতিবাদ করে। আমরা আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে মালিকানার বিষয়ে জানতে চাইলে কোন প্রকার উত্তর দিতে পারেনি। আমরা শুধু তাঁকে বলেছি হিমাগারের মালিক অন্য কেউ হতে পারে কিন্তু সেখানে রাখা আলুর মালিক সাধারণ কৃষক। তাদের আলু যেন অবৈধভাবে বের করে বিক্রি করা না হয়। এই প্রতিবাদ করায় অবৈধ দখলদার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন (মিলন) উল্টো জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ সাইফুল্লাহ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (নান্টু), সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ শামীম শাহ আলম (তমু) এর নামে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে ও যুবদলের কেন্দ্রে মিথ্যে অভিযোগ প্রদান করে। আমরা যুবদল এবিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম তমু, সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান তৌহিদ, সদস্য সচিব আবু সাঈদ বাবু সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিল।
এই ব্যাপারে দখলদার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন (মিলন) এর সঙ্গে কথার বলার চেষ্টা করা হলে সাংবাদিক পরিচয় চেয়ে তিনি মোবাইল কেটে দেয়। এরপর তাকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
তবে এ বিষয়ে উক্ত হিমাগারের প্রকৃত মালিক শাহিদ মাহমুদের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানায়, মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন (মিলন) নিজেকে বিএনপি নেতা ও হিমাগারের পরিচালক পরিচয় দিয়ে আমার হিমাগার দখল করে নিয়েছে। সেখানে প্রায় ১ লাখ ১০,০০০ বস্তা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫/৫০ কোটি টাকা। আমি জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীকে অভিযোগ করেছি। তবে এখনও সমাধান হয় নি।