January 20, 2025

ফল কুড়িয়ে খাওয়া জায়েয হয়েছে!

Read Time:4 Minute, 10 Second

গাছের মালিককে আমি চিনি না; আবার কিছু গাছের মালিক পরিচিত। এখন জানতে চাই যে, এই কারণে কি আমার গুনাহ হবে? আর আমার কী করা উচিত?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- যদি মালিকের পক্ষ থেকে যদি ফল কুড়িয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার বাধা বা নিষেধ করা না হয়, তাহলে আপনার জন্য ওইসব গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে খাওয়া জায়েয হয়েছে।

অবশ্য কখনো যদি এ ব্যাপারে মালিকের অসম্মতি বা অসন্তুষ্টি বোঝা যায়, তখন পড়ে থাকা ফলও কুড়িয়ে নেওয়া জায়েয হবে না। (আদ্দুররুল মুখতার : ৪/২৮৪; ফাতাওয়া খানিয়া : ৩/৩৯১; আলমুহিতুল বুরহানি : ৮/৫৪; আন-নাহরুল ফায়েক : ৩/২৮৪)

কোনো অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি এমন ফল খেতে পারবে কিনা এ সংক্রান্ত হাদিসে এসেছে- আমর ইবনে শোয়াইব তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)- কে গাছে ঝুলন্ত ফলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি (সা.) বললেন, যদি কোনো অভাবগ্রস্ত তা থেকে কিছু খায়, তাতে কিছুই নেই; যদি আঁচলে ভরে কিছু না নিয়ে যায়। হ্যাঁ, যদি কিছু নিয়ে যায়, তাহলে তার ওপর দুই গুণ দণ্ড বর্তাবে, তারপর শাস্তিও হবে।

আর শস্য মাড়াইয়ের স্থানে বা শস্য উঠান শুকানোর জন্য রাখার পর যে সেখান থেকে একটি ঢাল পরিমাণ মূল্যের কিছু চুরি করবে, তার হাত কাটা যাবে। উল্লেখ্য যে, আমর (রা.)-এর দাদা হারানো উট ও ছাগলের বর্ণনা করেন, যেভাবে অন্যরা উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে হারানো জিনিস সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হলো। তখন তিনি (সা.) বললেন, যা চলমান পথে-ঘাটে অথবা ঘনবসতি এলাকায় পাওয়া যায়, তবে তার জন্য সে এক বছর প্রচার করবে। তারপর যদি তার মালিক পাওয়া যায়, তবে তো তা তাকে দিয়ে দেবে।

আর যদি এর মালিক না আসে, তবে তা তোমার (অধিকার) হবে। আর যা জনমানবহীন জায়গায় পাওয়া যায়, তখন সেটা এবং মাটিতে প্রোথিত গুপ্তধনের এক-পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে (সরকারি কোষাগারে) দিতে হবে। (আর অবশিষ্টটা তোমার হবে)। [আবু দাঊদ, হাদিস : ১৭১০, সহিহ আল-জামি, হাদিস : ৫৬৫৮, নাসায়ি, হাদিস : ৪৯৫৮]

এছাড়া অন্যক্ষেত্রে গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল মালিকের অনুমতি ছাড়া খাওয়া বৈধ হবে না। যদি মালিকের পক্ষ থেকে অনুমতি থাকে, তাহলে খাওয়া বৈধ হবে। চাই অনুমতি প্রত্যক্ষভাবে থাকুক বা পরোক্ষভাবে থাকুক। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৪৪৪; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩৯৩; মাজমাউল আনহুর : ২/২৫৬, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ২৩/৩৭৯)

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত অবস্থায় যদি উক্ত ফলের মালিকের অনুমতি প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে থাকে, তাহলে আপনার জন্য এই ফলগুলো খাওয়া জায়েয আছে।

প্রসঙ্গত, প্রশ্নে উল্লিখিত ছোট থাকার অবস্থায় যেহেতু আপনার জ্ঞান হয়নি, তাই তখনকার বিষয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের হারাম খাওয়া থেকে রক্ষা করুন। আমিন।


আরসিএন ২৪ বিডি / ১০ জুন ২০২২

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হঠাৎ ট্রাক এসে মিশুকের উপরে Previous post হঠাৎ ট্রাক এসে মিশুকের উপরে
রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের জন্য ২০০ কোটি টাকার বাজার Next post আম কুড়িয়ে খাওয়া জায়েয আছে কি!