May 13, 2024
ভাতিজাদের সালামি দেওয়ায় অপরাধে স্বামীকে দায়ের কোপ, স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় পুলিশ, সড়ক অবরোধ করেছে সাংবাদিক

Read Time:4 Minute, 14 Second

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানায় গ্রেপ্তারকৃত এক মাদক কারবারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদুলের বিরুদ্ধে। এই সময় ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার এস এস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকেরা। এর আগে আজ বেলা একটার দিকে হাতীবান্ধা থানায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মোর্শেদুল হাতীবান্ধা থানার এএসআই। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন স্থানীয় একটি দৈনিকের হাতীবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ মাজারুল ইসলাম রিফাত।

ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় পুলিশ, সড়ক অবরোধ করেছে সাংবাদিক

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে মোছাঃ আনোয়ারা বেগম নামে একজন নারী মাদক কারবারিকে ৭ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়েরের পর আজ বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট আদালতে নেওয়ার জন্য থানা থেকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিল সাংবাদিক রিফাত।

এই সময় ওই পুলিশ সদস্য তেড়ে এসে তাঁর ক্যামেরা কেড়ে নেন। শুধু ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হননি। ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করেন।

সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এই সময় পুলিশ সদস্যের বিচার ও প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে সাংবাদিক নেতাদের সাথে কথা বলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকেরা বিক্ষোভ থেকে সরে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ মাজারুল ইসলাম রিফাত বলেন, ‘হাতীবান্ধা থানা থেকে একজন নারী মাদক কারবারিকে আদালতের পাঠানোর চিত্র ধারণ করতে গেলে পুলিশের ওই এএসআই এসে বাধা দেয়। পরে ক্যামেরা কেড়ে নেয়। এরপর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি থানার ভেতরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’

এই বিষয়ে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অধিকার পুলিশের নেই। আমরা সাংবাদিকেরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।’

এ ছাড়া জেলা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার পরির্দশক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ‘ওসি স্যারসহ অফিশিয়াল কাজে বাইরে ছিলাম। পরে বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ওই পুলিশের এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
ছেলের বিয়ের দিনে বাবার মৃত্যু Previous post নীলফামারীতে নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরু Next post রমজানে অফিসের নতুন সময় নির্ধারণ